Kabir Galpo
লেখক : শক্তি চট্টোপাধ্যায়
পৃষ্ঠা : 240
বিপুল কবিতা রচনার ফাঁকে ফাঁকে কয়েকটি উপন্যাস ও বেশ কিছু ছোটোগল্প লিখেছিলেন জীবনানন্দ-পরবর্তী বাংলা কবিতার অবিসংবাদিত নায়ক শক্তি চট্টোপাধ্যায়। জীবনানন্দের মতোই তাঁর গল্প-উপন্যাসগুলিও অন্যরকম, নির্মাণের রীতি-প্রকরণ অগ্রাহ্য করে লেখা। 'মৃতের সহিত সাক্ষাৎকার’, ‘উটের গ্রীবা’, ‘বস্ত্রে বৈরাগীর রং', 'অবজারভেটরি', 'হলুদপোড়া’– এরকম অদ্ভুত নামের সব গল্প থেকে সহজেই অনুমান হয় এ হল কবির গল্প। 'গল্প আমি যখন যেমন- তেমন লিখতে পারি না। ব্যাপারটা আমার পদ্য লেখার মতন, ভেতরে গুরুগুরু করে মেঘ তারপর বৃষ্টি হয়।'- বলেছিলেন শক্তি, আরও বলেছিলেন - 'আমি একটু তেরছাভাবে দেখি, যতটুকু লাগে ততটুকু নিই। বেশি কথাবার্তার মধ্যে যাই না। বিষয়গুলো প্রায় পদ্যের পড়োশি তাকে প্রয়োজন মত গল্পাকার দেওয়া। কেউ যদি তাদের গল্প না বলেন তো আমার কিছুই করার নেই।' যেমন, 'বস্ত্রে বৈরাগীর রং’ গল্পের একটুখানি ‘আকাশ তোলপাড় করে রোদ উঠেছে। রোদের যেন কাঁটা নেই, নখ নেই, বেঁধে না, গেঁথে না। জাড় জবর। হেতমপুরের বাদা ভুঁয়ে বনভোজনের গন্ধ-বাস পাচ্ছি। যেন!' 'মৃতের সহিত সাক্ষাৎকার’-এ অধ্যাপিকা স্বপ্না ও তপনের প্রেম। কিন্তু প্রেম শেষপর্যন্ত বিয়ের পিঁড়ি অবধি পৌঁছোয় না। সংসারের আর্থিক দায়দায়িত্ব সামলাতে সামলাতে স্বপ্নার সময় চলে যায়। আত্মহত্যা করে তপন। স্বপ্নার স্বগত কথাবার্তা দিয়ে গল্পের শুরু, স্বগত কথাবার্তাতেই গল্পের শেষ। কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে সঠিকভাবে ও সম্পূর্ণভাবে বোঝার জন্য গল্পগুলি পড়তেই হবে। গল্প-সংকলনের গুরুত্ব এখানেই।
আকার (cm) : 14.3 (l) X 22.6 (b) X 2 (h)