Kojagori Sukh
লেখক : কস্তরী চট্টোপাধ্যায়
পৃষ্ঠা : 64
জীবন বুঝি শুধু দিন প্রতিদিনের গেরস্থালির বেড়াতেই আটকে থাকে? মনের ঘর-বসতে যে অগুনতি মুখের নিত্য অধিবাস-তা বুঝি কোনো যাপনই নয়? ঘর আর পরের মধ্যে ছড়িয়ে থাকা অনুভব নিয়ে গোটা এক বাঁচার নিভৃত কিছু কথা উঠে এল এইসব কবিতায়। নারীর নিজস্ব অনুভবের সোপানে দাঁড়িয়ে কৰি দেখতে পেলেন কীভাবে ‘অভিমানী অবসাদ’ এসে ‘বিলাসী সুখের’ ঘরে হানা দিল। স্মৃতির রঙে আর আঁচে কত গহন পথের আভাস লেখা থাক ল। কতবার মাটির গন্ধ আর মন্দাকিনীর হাওয়া চেতনার চেনা। ফুটপাত জুড়ে অন্ধকার নামিয়ে আনল। তারার আলোয় রাত হারানো কথাদের। আকাশপ্রদীপ জ্বলে থাকল। জীবনের এত সব কাটুম কুটুমকে হঠাৎ করে ফুরিয়ে ফেলে সত্যিই কি কখনও একা হওয়া যায়? কাটানো যায় বুঝি ছন্নছাড়া জীবন ভালোবাসার সঙ্গছাড়া হয়ে? আসলে সব অপচয়ের শেষেও কিছু আত্মসমর্পণ কখনও বাকি থেকে যায়। জীবনের এইসব হারানো-প্রাপ্তি নিরুদ্দেশ নিয়েই কবির খাতার পাতায় শব্দরা বাসা খোঁজে। কবি লেখেন— ‘ভয় ভাঙে ঘাসবনের গভীরে, / পায়ে পায়ে সরে সরে যায়/ বামনিঝোরার জল, যেখানে / রাঙামাটির ছায়া পড়ে রোজ’। আসলে আমাদেরই এক সমান্তরাল বাঁচার ছবি, ছিটকে পড়া কিছু অনুভবের কোলাজ সৎ ও আত্মউন্মোচনের নিজস্ব সংলাপে ধরা রইল এই দুই মলাটের মধ্যে।
আকার (cm) : 14.5 (l) X 22 (b) X 1.1 (h)