Sushobhito Harer Bagan
লেখক : বাপ্পাদিত্য রায়বিশ্বাস
পৃষ্ঠা : 64
“রক্তপ্লাবন থেকে পলি ধার ক’রে/ বাঁকে বাঁকে মাথা তোলে কবিতানগর”– কবি বাপ্পাদিত্য রায়বিশ্বাসের ‘নির্মাণ’ কবিতাটি এই শব্দোচ্চারণের মাধ্যমে যেন বোঝাতে চায় যে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আহরিত অনুভূতিগুলিরই সংকলন তাঁর কবিতাগ্রন্থ ‘সুশোভিত হাড়ের বাগান’। মনোযোগী পাঠক এখানে এক অন্যধারার কবিতার স্বাদ পান যা শব্দবন্ধ ও দৃশ্যকল্প প্রয়োগের মাধ্যমে কখনও মায়াময়, কখনও কঠোর, কখনও প্রকৃতির মাঝে বিলীন আবার কখনও ঘোরতর নাগরিক। বাপ্পাদিত্য রায় বিশ্বাস এই সময়ের কবি হলেও তাঁর কবিতায় রয়েছে চিরকালীন আবেদন। কবিতাগুলি কখনও কখনও সময়ের কথা বলে- “তুমি তো বাঁশি জানো/ জানো কীভাবে লুকোতে হয় মসলিন... তবু প্রত্যেক যুদ্ধের আগে/ আমারই কাঁধের তূণে মৃত্যুকে অক্ষয় করো!” অথবা “তারপর চেনা গল্প-চেনা বন-চেনা লাক্ষাত্রাস/ অস্থিক্ষেপে দ্যূতক্রীড়া বৃহন্নলা বাস”। এহেন উচ্চারণ পাঠকের মনে চিন্তার খোরাক জোগায়। বাহুল্যবর্জিত কবিতাগুলি এই কাব্যগ্রন্থকে স্বতন্ত্র করে রাখে। ‘সুশোভিত হাড়ের বাগান’ তার শব্দ-ছন্দ-চিত্রকল্পর রূপায়ণের মাধ্যমে পাঠকের আবেগ, অনুভূতি ও জীবনবোধের সঙ্গে কোথাও যেন মিশে যেতে চায়। কবির ভাষায়- “আমার স্নানের জলে অনামিকা ফুলগন্ধ দিয়ো... মেঘভাঙা রোদ নয়, ছায়াটুকু পায়ে পায়ে যাক/ তুমিটুকু গলে দিয়ে জল হয়ে আমি ধুয়ে নিয়ো।”
আকার (cm) : 14 (l) X 22 (b) X 1 (h)