Dibyopagoler Ektara
লেখক : উৎপল ফকির
পৃষ্ঠা : 80
বাউলের ধুলো মানবজমিনের হৃৎকমলে ধূম জাগায়। যাপন দিয়ে সাধনের ভাঁজে ভাঁজে জড়িয়ে থাকে কিছু অমীমাংসিত প্রেম, কিছু অসমাপ্ত সংলাপ আর কিছু যথেচ্ছ গায়ের ছাপ। খ্যাপামন বলে ওঠে—‘আগুন ফুলে সেজেছ সাঁই/ হৃৎকমলে বেগানা সানাই / মরু বেহাগে ধুন বুনে/ ধুন লেগেছে খ্যাপার মনে।’ সাঁই- এর সঙ্গে একা ঠাঁই-এ আলাপ জমে আবার কোথায় পথের টানে সাঁই আড়াল হয়। লুকোচুরির সেই খেলাঘরে যেজন বসত করে সে কে? কয়জনাই বা বসত করে? কয়জনাই বা ঘর ছাড়ে? মন শুধু বলে—‘তুমি ছুঁয়ে দিলে / সর্বশরীর লুঠ হয়ে যায়/ মধ্যরাতের মাতাল বাতাস / রোদ গিলে খায়।’ মনের ডেরায় এক আলখাল্লা আর একতারা রাখা থাকে। উন্মাদ তার জপমন্ত্রে বাঁচার গল্প বলে। সে গল্প পঙ্ক্তি জাগায়। হয়তো শস্য ফলানোর হাসিও লাগে তাতে। দর্শন ও দৃশ্য-ঘেরা এই মুখরতায় আসলে সম্ভাবনার কথা বলে, বলে ভাবীকালের কথা। তার দিগন্তে দাঁড়িয়ে ফকিরমন বলে ওঠে—‘আমাদের যাপনের বর্ণমালা / জোনাকির মতো জুলে শুধু। কোনোদিন পাণ্ডুলিপি লেখা হবে / আমাদের, শীতে ও আগুনে / কোনোদিন শস্য তার কবিতার / কোরাস হবে, এই মানবজমিনে।
আকার (cm) : 14.5 (l) X 22 (b) X 1.3 (h)