Bhangan Charit Katha লেখক : আয়েশা খাতুন পৃষ্ঠা : 210 গায়ে বৃষ্টিভেজা মাটির গন্ধ, চোখে জীবনদর্শনের তৃষ্ণা। ভারতীয় মেয়ে ইকলীমু মহিলাদের উন্নয়নে ব্রতী। বাংলাদেশে আসে গ্রামীণ ব্যাংক পরিদর্শনে। এইখানেই দেখা হয় দেশভাগের দ্বিতীয় প্রজন্মের সঙ্গে। দেশভাগের প্রতিক্রিয়া সেই চুইয়ে আসা স্রোত যা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে বিষাক্ত করতে থাকে। দেশের শঠ রাজনীতিবিদ ও অসাম্প্রদায়িকতার মুখোশের চাতুর্য একদিকে যেমন শিক্ষকদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেয় অন্যদিকে দেশের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করে, নতুন কচি ভাবনাকে কচলে দেয়। ধর্মের গোঁড়ামি সংস্কৃতির অঙ্কুরগুলিকে বিনষ্ট করে। বঞ্চনার বৈচিত্র্যে অনাথ শিশু দুলাল গড়ে তোলে জীবনের উর্ধ্বে ওঠার সিঁড়ি। সাহাজাদি তারকের মিঠে প্রেম মিঠেমাইনের হাওরের ঢেউ একদিন ভেঙে দেয়। ক্রমাগত দেশের ভাঙনে ভাঙতে থাকে ভাষা, ধর্ম, জীবন, সংসার, ভালোবাসা, আদর্শ। এই ভাঙনের স্রোতে ভেসে যায় পুন্ন্যার মা, সৈকত, আবুতাহের। একবুক শূন্যতা নিয়ে তারকাটার ধার ঘেঁষে দৌড়োয় ইস্রাফিলের মায়ের প্রজন্ম। একজাতির ভাঙনের দহন শক্তিশালী লেখিকা আয়েশা খাতুনের এই উপন্যাস জুড়ে। এই ভাঙন দুলাল না মানলেও শেষে রাষ্ট্র তাকে বলিয়ে নেয়, আমি বুঝিনি যে দ্যাশডা বাগ হইয়া বাগ হইয়া অন্তরে বাহিরে একেবারে বাগ হইয়া গ্যাসে। |