Atha Marich Katha লেখক : দেবকুমার সোম পৃষ্ঠা : 176 যুদ্ধটা চলছেই। বিভিন্ন মাত্রায়। বিভিন্ন কৌশলে। মহাকাব্যের যুগে দেবতাদের অমৃতলোভ কিংবা এই সময়ের বহুজাতিক সংস্থার মুনাফালোভ জঙ্গল এবং জংলিপ্রাণকে নিঃশেষ করে দিতে চাইছে। কিন্তু চাইলেই কি সব পাওয়া যায়? রাষ্ট্রশক্তি যতই বৃহৎ পুঁজিপতিদের স্বার্থরক্ষায় জী-জান এক করে দিক, জঙ্গলের রুখুশুখু মানুষগুলো অস্ত্র তুলে নেবে হাতে। রামায়ণের সময়ও তুলেছিল। আজকেও তুলেছে। একে অনুন্নয়নের সরলীকরণে ব্যাখ্যা করা ভ্রমাত্মক। কৈশোরে ঋষি বিশ্বামিত্রের প্ররোচনায় আদিবাসী নেত্রী তাড়কাকে খুন করেছিল দশরথনন্দন রামচন্দ্র। সেই প্রথম ভাড়াটে খুনি হিসেবে মহাকাব্যে তার আবির্ভাব। তাড়কা নিধনের রাতে তার পুত্র মারীচ পালাতে সক্ষম হয়েছিল। তারপর দীর্ঘ এবং জটিল জঙ্গলপথ উত্তর থেকে দক্ষিণে পালিয়েছিল সে। উদ্দেশ্য, আদিবাসী পুরুষ রাবণের কাছে পৌঁছে মাতৃহত্যার প্রতিশোধ। কীভাবে এক সামান্য উদ্বাস্তু পরিবারের জংলি ছেলে উত্তর থেকে দক্ষিণে পৌঁছাল এবং কীভাবে এক মহাযুদ্ধের সূচনা ঘটল তার হাতে, এই আখ্যানে সেই আয়ন বিধৃত। |