Ekti Kharap Bochor লেখক : সুবোধ সরকার পৃষ্ঠা : 128 পাবলো নেরুদা লিখেছিলেন, ‘ডু টু মি অ্যাজ ডাজ স্প্রিং টু আ স্ট্রবেরি'। এই ছদ্মবেশী উপন্যাসে কে এখানে বসন্ত? সীমানা সেন? আর কে-ই বা এখানে স্ট্রবেরি? বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য পড়তে আসা জিনস্ পরা সীমানা সেন ভোরবেলায় দিল্লি এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে আছে কার অপেক্ষায়? আমেরিকা থেকে কবিতা পাঠ করে যিনি ফিরছেন তিনি তো একদিন খেতে পেতেন না কৃষ্ণনগরে। সীমানার বয়েস তিরিশ। আর যার জন্য সে আজ দাঁড়িয়ে তাঁর সমস্ত চুল সাদা। অরিন্দম দাস কী কমিউনিস্ট, যিনি সারাক্ষণ সুবোধ সরকারের কুৎসা করে চলেছেন পার্ক স্ট্রিটে কলেজ পাড়ায়, নন্দনে এবং ফেসবুকে। তিনি সীমানাকে সরিয়ে নিয়ে যেতে চান। শুরু হয়ে যায় নোংরামি। 'মল্লিকার হয়েছিল শরীরে ক্যানসার, সুবোধ সরকারের হয়েছে মনে ক্যানসার’। এটা একজন বাম অধ্যাপক বলতে পারে ধারণার বাইরে ছিল। কী রুচি! একজন মারা গেছে, আর-একজনের মৃত্যু কামনা করছে টেলিভিশনে বসে। ধন্য টেলিভিশন। ধন্য কমরেড। সুবোধ গলা থেকে অ্যালবাট্রস খুলে ফেললেন, আলিমুদ্দিনকে টা-টা বাই- বাই করে দিলেন। তাই এত রাগ? আত্মজৈবনিক উপন্যাসটি শেষ হচ্ছে লন্ডনে। রাসেল স্ট্রিট থেকে পায়ে হেঁটে অক্সফোর্ড স্ট্রিটে। একদিকে দুরন্ত প্রেম, অন্যদিকে হেরে যাওয়া বামপন্থীদের কুৎসা তার মাঝখানে লন্ডন? বামপন্থীদের পতন ও পচনের মাঝখানে যে- অন্ধকার করিডোর সেটা ধরেই কলকাতা ছেড়ে সীমানা এগিয়ে চলেছে লন্ডনের রাস্তায়? সে কি আর ফিরবে? আকার (cm) : 16.4 (l) X 20.4 (b) X 1.4 (h) |