Upanayas Samogrro Vol (I) লেখক : সেলিনা হোসেন পৃষ্ঠা : 696 বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে যাঁর লেখা সেই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্না লেখিকা সেলিনা হোসেনের লেখার জগৎ বাংলাদেশের মানুষ, তার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। বাংলার লোক-পুরাণের উজ্জ্বল চরিত্রগুলি নতুনভাবে জীবন্ত হয়ে উঠেছে তাঁর উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে সমকালের সামাজিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংকট, তা ছাড়া ভাষা-আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ অর্জন করেছে নতুন এক মাত্রা। শখে নয়। অভ্যাসবশত নয়, যাপিত জীবনকে মূর্ত করার চেষ্টা থেকেই লেখিকার উপন্যাস রচনা। অখণ্ড প্রবহমান যে জীবন সেই জীবনেই ফুটে উঠতে থাকে তাঁর উপন্যাসগুলির মধ্য দিয়ে। হাজার মানুষের জীবনের হাজার উপাদানের সমন্বিত রূপই শিল্প-মনে করেন লেখিকা এবং সেই শিল্পের সাধনায় সারাজীবন নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তিনি। প্রাতিষ্ঠানিকতা-বিরোধী সালমা পিতার আধিপত্য অতিক্রম করে পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চায়। ‘ভালোবাসা নয়, তোমার ঘৃণা নিয়ে আমি দূরে সরে যেতে চাই। আমি যা করেছি তার জন্য আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই না। কেননা আমাকে তুমি ক্ষমা করতে পারো না। তোমার ব্যর্থতাকে আমি নিজে অতিক্রম করব বলে পথে নেমেছি। তোমার কাছে কোনোদিন পৌঁছোবে না আমার সে পদশব্দ।’-এভাবেই শেষ হয় ‘পদশব্দ’ উপন্যাস। আবার ‘মগ্ন চৈতন্যে শিস’ উপন্যাসের এক টুকরো ‘সংসার-সংসার খেলা জমেনি বলে আমার খারাপ লাগছে না। হাঁড়িকুড়ির মধ্যে মিতুল কেবল আমার রাঙা বউ নয়। আমি হতেও দেব না। মিতুলের সেই দৌড়ে পালানোর আবেগটা আমার চাই। তার সঙ্গেই আমার কানামাছি ভোঁ ভোঁ খেলা। মিতুল নিজেও জানে ওর ভেতরের বাইরের শরীর থেকে আমি কেমন ননী চুরি করি।’ সেলিনা হোসেনের উপন্যাসে জীবনের গভীর উপলব্ধির প্রকাশ। ‘পদশব্দ’, ‘মগ্নচৈতন্যে শিস’ ছাড়াও ‘জলোচ্ছাস’, ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘কালকেতু ও ফুল্লরা’, ‘দীপান্বিতা’-মোট ছ’টি উপন্যাস রাখা হল উপন্যাস সমগ্র ১ এ। এরকম মহৎ রচনা প্রকাশ করতে পেরে আমরা ধন্য। আকার (cm) : 16 (l) X24 (b) X 3.5 (h) |