Abbasuddin সম্পাদনা : আল মাহমুদ পৃষ্ঠা : 144 ‘আমার মোহাম্মদের নামের ঠেয়ান হৃদয়ে যার বয়’। গান নিয়ে বহুমুখী পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে সমগ্র বিশ্ব জুড়েই। গতানুগতিক ধারাকেই একমাত্র অবলম্বন ভেবে বিচিত্র পথ থেকে সুরের অন্বেষণ এবং তার সার্থক প্রয়োগ চলেছে আমাদের বাংলা সংগীত জগতেও। বলাবাহুল্য এই অন্বেষণ প্রিয়তাই প্রতি মুহূর্তে বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করে চলেছে। লোকগান ও পল্লিগীতি নিয়ে শহরের তরুণেরা আজ মাতোয়ারা। লোকসংগীতের শিকড়-সন্ধানী এই তরুণ প্রজন্মের কাছে আজও মহা-বিস্ময় সংগীতশিল্পী আব্বাসউদ্দীন। সৈয়দ জিল্লুর রহমানের ভাষায়, ‘স্বদেশের গানের রাজ্যে তিনিই রাজা, তিনিই রাখালিয়া’। ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে’-র শিল্পীকে নিয়ে আলোচনা-গবেষণাও চলছে বহুমাত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে। ১৯০১ সালের ২৭ অক্টোবর কুচবিহারের বলরামপুর গ্রামে জন্ম হয় আব্বাসউদ্দীনের। আজিজুর রহমান তাঁর সুলিখিত প্রবন্ধে জানিয়েছেন, ‘বাংলার মুসলিম নব জাগরণের এই উন্মেষ সূচিত হয় প্রথমত আব্বাসউদ্দীনের ইসলামী গানে’। এই সংকলনেই সুনীলকুমার মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আসলে আব্বাসউদ্দীন ছিলেন জাত শিল্পী। যে কোনো শ্রেণির সংগীতের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য ও আবেগকে কণ্ঠে ভাষা দিতে তাঁর জুড়ি কম ছিল’। আব্বাসউদ্দীনের বহুমুখী সংগীত প্রতিভা নিয়ে সংকলনটিতে রয়েছে ২৫ জন বিশিষ্ট মানুষের বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা। সংগীত-প্রেমী, সংগীত-শিল্পী, লোকসংস্কৃতির গবেষকদের কাছে বইটি নিঃসন্দেহে সংগ্রহযোগ্য হয়ে উঠবে। আকার (cm) : 14 (l) X 22 (b) X 1.5 (h)
|