Utture Hawar Shabda
লেখক : অনিমেষ গুপ্ত
পৃষ্ঠা : 64
হাওয়ায় হাওয়ায় হৃদয় পোড়ার গন্ধ ছড়ায়। আজীবন ধরে বুকের তলে যে- আগুন জ্বলে, তার উত্তাপের ধারে বসে জীবনের শীতের বেলা ওম পোহায়। কত দেখা মনে টান জাগায়। কত নিভৃত চেনা একক সংলাপে সংলাপে কবিতা হয়ে ওঠে। অনাত্মীয় এক রুক্ষতা একাকিত্বের রূপ ধরে মনের শার্সিতে এসে হাত রাখে। বরফ জমে চোখের কোণে। কবি লেখেন— ‘বিষাদের জল আর পরিত্রাণ.../ মাঝামাঝি সাঁকো হয়ে আছি’। কত ভাঙা বাসা আর ফাঁকা বসতের শূন্য জনারণ্যের বুকে সব ফোরানোর শ্বাস দীর্ঘতর হয়ে লেগে থাকে। একদিন হঠাৎ করেই মন দ্যাখে—‘লেবুগাছে বসত সে ফুলটুসি জোড়া.../ বাসা ভেঙে চলে গেছে কবে। বাকি সব / একইরকম— অভ্যাসিত শুধু / বসন্তের সময় কমে গেছে। দহন আর ক্ষত জমতে জমতে মন বিষন্ন হয়। সমাজ আঁচড় কাটে কবিতার খাতা জুড়ে। বহু স্বপ্নের অপমৃত্যু নিয়ে লাশ এসে দাঁড়ায় চুল্লির ধার ঘেঁষে। কবি লেখেন— ‘বিদুৎ চুল্লির সামনে শোয়ানো—একটি/ নারীর মৃতদেহ-বীভৎস ঝলসানো / পোড়া সিঁথিতে কেউ সিঁদুর দিচ্ছে / আলো দিচ্ছে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। কেউ বললেন এসবই শ্বশুরবাড়ির ক্লাস। শিরদাঁড়া বেয়ে ঠান্ডা স্রোত নামে। তুষার-যুগ এসে হানা দেয় মানবিকতায়, বিবেকে। শুরু হয় উত্তুরে হাওয়া...
আকার (cm) : 14.5 (l) X 22 (b) X 1.2 (h)