Kromosha Fasil Hoye Jai
লেখক : অংশু সাহারায়
পৃষ্ঠা : 64
‘কিডনির পাথরগুলোকে আমি / বসিয়ে রেখেছি আমার আংটিতে, / আর গলব্লাডারের স্টোনগুলো দিয়ে / বানিয়ে নিয়েছি একটা রিস্ট ব্যান্ড। এভাবেই শ্লেষ মিশিয়ে তির্যক ভঙ্গিতে কথা বলেন এই কবি। নিজের বিশ্বাসকে বলিষ্ঠতার সঙ্গে সরাসরি প্রকাশ করেন। ‘আমি বিশ্বাস করি বন্ধুত্বের সখ্যতায়— বিপন্নতার আত্মীয়তায়। / জীবনের আন্তর্জাতিকতায়।’ যেখানে / ন্যায় সত্য ভ্রাতৃত্ব সব লীন-মানবতায়। / আমি বিশ্বাস করি— / মানুষের আন্তর্জাতিকায়’, ‘দাসবৃত্তির বিদায় প্রাক্কালে’ কবিতাটিতেও কবির নির্মোহ নিরাবেগ দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের নজর এড়ায় না। দাসত্বের দর্শনে আমি দাস থাকলেও / আমার দর্শনে কখনও দাসত্ব আসেনি। / ফুলের তোড়া সংসাপত্র গীতা ছাতা / সব এখানেই পড়ে থাক। / আমি কিছুই নেব না। / এই স্মারক উপহার নিয়ে / নিজেকে ভারাক্রান্ত করতে চাই না। গ্রন্থভূক্ত প্রায় সব কবিতাই আকারে ছোটো। তবে ছোটো ছোটো কবিতার মধ্যেই কবি গেঁথে দিতে পেরেছেন তাঁর জীবনদর্শন, তাঁর মানবিকতার বোধ। চা-বাগানে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে। অসংখ্য শ্রমিক, রোগে ভুগে ভুগে, অনাহারে, ধর্মহীনতায়। কাগজে পড়া এই খবর বিচলিত করে কবিকে। তিনি লেখেন ‘চায়ের প্রতিটি চুমুকে / উঠে আসে / আমার ভাইয়ের অনাহারী যক্ষ্মার / বিন্দু বিন্দু রক্ত।’
আকার (cm) : 14 (l) X 22 (b) X 1 (h)