Hemanta Sangeet : 100 Gaan 100 Galpo
লেখক : অংশুমান ভৌমিক
পৃষ্ঠা : 352
‘বাংলার সংগীত সাম্রাজ্যে হেমন্তের অনুপস্থিতি যড়ঋতুর যে কোনো একটির অনুপস্থিতির মতোই অবিশ্বাস্য এক ঘটনা।’ ১৯৮৯র ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর লিখেছিল এক সাপ্তাহিক পত্রিকা। তারপর আরও তিন দশক কেটে গেছে। দেখতে দেখতে গ্রামোফোন রেকর্ড, অডিও ক্যাসেট, কমপ্যাক্ট ডিস্কের যুগ পেরিয়ে এসেছে বাংলার সংগীত সাম্রাজ্য। তারপর যত দিন গেছে তত ডিজিট্যাল এন্টারটেইনমেন্টের বানে ভেসে গেছে একশো বছরের সংগীত সংস্কৃতির রীতি, নীতি, স্মৃতি, এমনকি সত্তা। হারানো সুর, সোনাঝরা সন্ধ্যার মৌতাত বয়ে জেগে আছে কিছু দ্বীপ। সেই সব চিরসবুজ দ্বীপের রাজা হয়ে আছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। ২০২০ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জুন তাঁর জন্মের একশো বছর পূর্ণ হল। আমাদের মনে হয়েছে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় কেবল একজন কিংবদন্তিপ্রতিম গায়ক ও সুরকারের নাম নয়, তিনি এক সংগীত সংস্কৃতির নাম। তাঁর গলা ধার করেই নগরায়িত বাঙালি গান গাইছে। তাঁর গাওয়া, তাঁর সুর করা গানের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে। মধ্যবিত্ত বাঙালির এক শতকের শ্রবণপরম্পরা। একে ‘হেমন্তসংগীত’ বলাই শ্রেয়। এই সংকলনে আমরা বেছে নিয়েছি এমন ১০০ হেমন্তসংগীত যা ওই শ্রবণপরম্পরার দিকচিহ্ন। যা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ৫৫ বছরের সংগীতজীবনের অনিবার্য মাইল ফলক। সেইসব গানের বাণীর পাশাপাশি আমরা বুনে দিয়েছি ভাষ্য। চেষ্টা করেছি ওইসব গানের অন্ধিসন্ধিতে জুড়ে থাকা সময় আর মানুষের খতিয়ান দিতে। বুঝে নিতে কেন বাঙালি নামক জাতির আত্মপরিচয়ের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছে ওইসব গান।
আকার (cm) : 14.5 (l) X 22 (b) X 2.3 (h)